ইসলামিক দৃষ্টিকুণে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং পবিত্র। স্বামী স্ত্রীর সুসম্পর্কে পরস্পরে ভালোবাসা সম্মান সমঝোতা এবং সহযোগিতার ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। নিম্নে স্বামী স্ত্রীর মাঝে সুসম্পর্ক সৃষ্টি করতে সাহায্য করে যে সমস্ত মূলনীতি তার কয়েকটি তুলে ধরা হলোঃ
ভালোবাসা এবং সহানুভূতিঃ স্বামী স্ত্রীর পরস্পর ভালোবাসা এবং সহানুভূতিটা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাতে সম্পর্ক সুদীর্ঘ হয়।
সম্মান এবং মর্যাদাঃ একে অপরকে উভয়ই যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা জরুরী। পারস্পরিক সম্মান একটি সুখী ও স্থায়ী সম্পর্কের ভিত্তি। মহানবী (সা.) বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সর্বশ্রেষ্ঠ, যে তার স্ত্রীর প্রতি সদয়” (তিরমিজি)।
সমঝোতা ও সহযোগিতাঃ স্বামী স্ত্রী উভয় সমান দায়িত্বশীল হতে হয়। একে অপরের সাথে মতামত বিনিময় করতে হয়।
পারস্পরিক অধিকার রক্ষাঃ ইসলামে উভয়েরই কিছু অধিকার রয়েছে যা রক্ষা করা অপরিহার্য। স্বামী তার স্ত্রীকে ভরণপোষণের দায়িত্ব পালন করতে হবে আর স্ত্রীর প্রতি যত্নবান হতে হবে। স্ত্রীকেও স্বামীর প্রতি বিশ্বাস ও সাহায্যকারী হতে হবে।
স্বামী স্ত্রীর ইসলামিক স্ট্যাটাস

স্বামী স্ত্রী পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ এবং পবিত্র কাপল। দুজন অপরিচিত মানুষ একে অপরকে বোঝা, নিজেকে অপরের জন্য উৎসর্গ করে দেওয়া এবং স্ত্রী তার বাবা-মায়ের সকল ভালোবাসা ত্যাগ করে স্বামীর সঙ্গ দেওয়া বিষয়টি খুবই চমৎকার তাই না? আজ আমরা তো আর্টিকেলটিতে প্রকৃতির এই সুন্দর জুটি অর্থাৎ স্বামী স্ত্রীর ইসলামিক স্ট্যাটাস দেওয়ার মত সেরা কাপল ক্যাপশন রচনা করেছি। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শেষ অব্দি পড়ার অনুরোধ রইলো।
নবী করিম (স.) বলছেন :
যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে সেজদা দিতে বলতো, তবে স্বামীর কথা বলা হতো।
(তিরমিযী)
তর্কে যদি স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক নষ্ট হয়,
তাহলে চুপ থাকায় ভালো।
স্ত্রী ভুল করলে, তাকে ক্ষমা করুন,
আর না হয় আপনি বকা দিন।
পরিবারে জানিয়ে, তাকে ছোট করবেননা।
মনে রাখবেন, তার সাথে আপনার সম্মান জরিয়ে আছে।
যে স্ত্রী তার স্বামীকে সন্তুষ্ট করে মৃত্যুবরণ করবে,
সে জান্নাতে যাবে।
(তিরমিজি)
সংসার যেহেতু বেধেছেন,
একে অপরের উপর অসন্তুষ্ট না থেকে,
সন্তুষ্ট থাকার চেষ্টা করুন।
দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তিতে থাকবেন।
স্ত্রীদের রাগ মানায় না।
তবে আপনার স্ত্রী যদি রাগী হয়,
তাকে বুঝান।
কারণ, আগুনের উপর পানি দিলে আগুন নিবে।
স্ত্রীকে প্রতি কথায় হুমকি দিলে,
ভালোবাসা লুকিয়ে যায়।
সাজগোছ করলে স্বামীর জন্য করো,
প্রয়োজনে বাইরে যেতে হলে সাদামাঠা ভাবে যাবে,
যাতে পর পুরুষের নজর না পড়ে।
হযরত আইয়ুব (আ.) এর স্ত্রী বিবি রহমত, স্বামীর এমন সেবা করেছেন, যা ইতিহাসে প্রসিদ্ধ, তার অসুস্থতাই কেউ পাশে না থাকলেও তার স্ত্রী ছিলেন। স্বামীর প্রতি ভালোবাসাটা এমন থাকা উচিত।
মেয়েদের জন্য তার বাবার বাড়ি নিরাপদ নয়।
নিরাপদ হলো তার স্বামীর বাড়ি।
অনর্থক স্ত্রীকে সয্য করতে না পারলে,
তোমাদের মত ছেলেদের একা থাকা ভালো।
স্ত্রীর বেলায় ও তাই।
স্বামী স্ত্রী দুজন যদি ইসলামের পথে চলে,
সংসার সুখী হয়।
স্বামী স্ত্রী দুই জনের যদি স্বভাব দুই রকম হয়,
যার স্বভাব ভালো,
তার মত স্বভাব বানাও।
স্বামীর রাগের সাথে রাগ মিলিয়ে কথা বলতে যেওনা,
পারলে তাকে বুঝাও।
স্বামীরা একটু রাগী হয়,
তবে কথয় কথায় রাগ দেখানো ভালো নয়।
নেককার স্ত্রীরা ত্যাগ পছন্দ করেনা,
তাই স্বামীদের উচ কথার কথায় তালাকের মত ভাষা টা মুখে না আনা।।
স্ত্রীদের জন্য, আল্লাহ ও তার রাসুল (স.) এর হুকুম মানার পর, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল,
সামীর খেদমত ও আনুগত্য করা।
জীবনসঙ্গী নিয়ে ইসলামিক উক্তি
সোশ্যাল মিডিয়ায় জীবনসঙ্গী নিয়ে ইসলামিক উক্তি স্ট্যাটাস দিতে অনেককে দেখা যায়। কিন্তু ক্যাপশন গুলোর মান উন্নত না হয় স্ট্যাটাসও ফুটে ওঠে না। সে জন্য অনেকেই জীবনসঙ্গ নিয়ে ইসলামিক স্ট্যাটাস দেওয়ার জন্য গুগলে ভালো মানের ইসলামিক কাপল ক্যাপশন খুঁজে থাকেন, ঠিক তাদের জন্যই আজকের এই আয়োজন।
শুধু সুন্দর দেখে হ্যা বলিওনা,
গুন আছে কিনা যাচাই করো,
তারপর জীবনসঙ্গী করো।
অপেক্ষায় থাকতে হলে থাকো,
তবু দ্বীনদার জীবনসঙ্গী বেছে নাও।
যদি বেয়াদব হয়ে ও দ্বীনদার চাও,
তবে ভালো হয়ে যাও।
কারণ, দ্বীনদাররাও চাই তাদের জীবনসঙ্গী দ্বীনদার হোক।
জীবনসঙ্গী হিসেবে হাফেজ আলেম হয়ে যদি তার বেতন কম হয়,তবু ভালো ।
বেশীর ভাগ মেয়েরা তার জীবনসঙ্গী সুন্দর না হলেও জীবনসঙ্গীর মুখের ভাষা সুন্দর হওয়া চায়।
জীবনসঙ্গীরা একে অপরকে সম্মান দিয়ে কথা বলবেন, যাতে অশান্তি সৃষ্টি না হয়।
দ্বীনদার জীবনসঙ্গীর জন্য সুরা ফুরকানের ৭৪ নম্বর আয়াত পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করুন, আল্লাহ চাইলে আপনার মনের আশা পূরন হবে। ইনশাআল্লাহ।
মারইয়াম জীবনসঙ্গী হিসেবে চেয়েছিলেন আবদুল্লাহকে, কারণ সে নবীর মা হতে চেয়েছিলেন আল্লাহর খুশীর জন্য। আল্লাহ তার আশা পূরন করলেন ঈসা (আ.) এর মা বানিয়ে।তাই আমাদেরই জীবনসঙ্গী হিসেবে চাওয়াটা হোক আল্লাহর খুশীর জন্য।
স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা ইসলামিক স্ট্যাটাস
বর্তমানে মানুষজন সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস দেওয়ার ক্ষেত্রেও ইসলামিক অবলম্বন করছে যেমনটি ইসলামিক বায়ো কিংবা প্রোফাইলের ক্ষেত্রেও ঠিক যেমনটি আপনিও কাপল ক্যাপশন এর ক্ষেত্রে ইসলামিক পছন্দ করছেন। নিম্নের ক্যাপশন গুলো পড়ুন ইনশাল্লাহ এগুলো উন্নত মানের স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা ইসলামিক স্ট্যাটাস দিতে সহযোগিতা করবে।
জীবনসঙ্গী হোক এমনই,
যার কাছে মনের সব কথা,
মন খোলে বলা যায়।
যার জন্য দোয়া করতে করতে আপনি অস্থির, তবু পাওয়া হয়নি তাকে,
হতাশ হবেন না,
হতে পারে, আল্লাহ তার মধ্যে আপনার জন্য কল্যাণ রাখেনি।
কারো ভাগ্যে ভালো জীবনসঙ্গী আসলেও তাঁদের খারাপ ব্যবহারের জন্য রাখতে পারে না।
সবার দূরব্যবহার মেনে নেওয়া যায়,
তবে জীবনসঙ্গী যদি খারাপ হয়,
এটা মেনে নেওয়া খুব কষ্টকর।
কারণ এটা সারাজীবনের ব্যাপার।
জীবনসঙ্গীর সাথে একগুণ ভালো চলে,
যদি দশগুন ভালো পিরে পান,
তাহলে মন্দ চলার কি দরকার?
সকল কিছু দিয়ে পরিপূর্ণ থাকলেও,
একজন দ্বীনদার জীবনসঙ্গী সবার প্রয়োজন।
দ্বীনদার জীবনসঙ্গী নিয়ে হতাশার কিছু নাই,
দোয়া করতে থাকুন, আল্লাহ চাইলে ইনশাআল্লাহ পাবেন।
জীবনসঙ্গী সাদাসিধা বলে, দূর্বল ভেবোনা,
সে হয়তো আল্লাহর ভয়ে সাদাসিধা হয়ে আছে।
দ্বীনদার জীবনসঙ্গী নিয়ে ইসলামিক উক্তি
উত্তম জীবনসঙ্গী সবাই চায়,
কিন্তু সবার কপালে উত্তম জীবনসঙ্গী জুটে না।
ভালোথাকার শত ভাগ কারণ,
একজন দ্বীনদার জীবনসঙ্গী।
একজন দ্বীনদার জীবনসঙ্গীর টাকাপয়সা তেমন না থাকলেও, তার আচরণে মুখে হাসি রাখা যায়।
জীবনসঙ্গী খারাপ পড়লে, তার জীবনে দুঃখের শেষ থাকে না,।
মনেহয় জীবনটা এক জেলখানা।
ভালো জীবনসঙ্গী পাওয়াটাই যেন,
আল্লাহর অশেষ এক নেয়ামত।
যার জীবনসঙ্গী যত ভালো,
সে ততবেশি সুখে আছে।
ভালো থাকার জন্য একজন দ্বীনদার জীবনসঙ্গী সবাই চায়।
শেষ কথা
উপরে স্বামী স্ত্রীর মাঝে সুসম্পর্ক সৃষ্টি করতে সাহায্য করে যে সমস্ত মূলনীতি তা উল্লেখ করার পর বেশ কিছু স্বামী স্ত্রীর ইসলামিক স্ট্যাটাস প্রদান করেছি এবং আমরা এটা বিশ্বাস করি আপনিও আপনার মনের মত ক্যাপশনটি এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে খুজে পেয়েছেন। আমরা প্রতিনিয়তই এই ওয়েবসাইটে এরকম সুন্দর সুন্দর ইসলামিক স্ট্যাটাস আপনাদের সাথে শেয়ার করে থাকি, তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার জন্য সেরা মানের ফেসবুক বায়ো স্ট্যাটাস ক্যাপশন পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।