99টি+ ছোট বাচ্চাদের নিয়ে ইসলামিক স্ট্যাটাস, উক্তি 2025

আপনারা অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার জন্য ছোট বাচ্চাদের নিয়ে ইসলামিক স্ট্যাটাস উক্তি খুঁজে দেখেন কিন্তু ভালো মানের ক্যাপশন না পাওয়ায় হয়তো এখন অব্দি পোস্টই করা হলো না তাই না? যদি তাই হয় আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ আপনার জন্য। কারণ এখানে আমরা সুন্দর সুন্দর ছোট্ট ছেলে এবং মেয়ে বাবুর জন্য ইসলামিক স্ট্যাটাস নিয়ে হাজির হয়েছি।

ছোট বাচ্চাদের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক বিকাশের খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময় ০ থেকে ৫ বছর বয়সে। এই বয়সটিতে তারা নতুন কিছু শেখার জন্য খুবই আগ্রহী থাকে এমনকি শিখতেও পারে। স্বামী স্ত্রীর উভয়ের উচিত তাদেরকে এই বয়স থেকেই ভালো কিছু শিক্ষা দেওয়া। শুধু পুষ্টিকর খাবার, আর ভালো যত্নেই বাচ্চার সু্মেধা বিকাশ পায় না। তাদেরকে ইসলামিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হয় ছোটকাল থেকেই। তাই এ বিষয়ে অভিভাবকদের সতর্ক হওয়া উচিত।

আজকের এই আর্টিকেলে কিছু সুন্দর সুন্দর ছোট বাচ্চাদের নিয়ে ইসলামিক স্ট্যাটাস রচনা করা হয়েছে যেগুলো আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে পারেন।

ছোট বাচ্চাদের নিয়ে ইসলামিক স্ট্যাটাস

ছোট বাচ্চারা ছোটকালে কাদামাটির মতো থাকে। তাদেরকে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবেই গড়ে তোলা যায়। তাই আপনার সন্তানকে মানুষের মত মানুষ করতে ছোটকালের চেষ্টার বিকল্প নেই। নিম্নে আমরা ছোট বাচ্চাদের নিয়ে কিছু ইসলামিক স্ট্যাটাস প্রদান করলাম।

যারা বড়দের সম্মান ও ছোট বচ্চাদের আদর স্নেহ করেনা,
তাদেরকে আমাদের নবী (স.) উম্মত বলে অস্বীকার করেছেন।

বাচ্চাদের বড় হলে পর্দা করাবেন এটা না ভেবে, ছোট থেকে পর্দা করান।
যাতে বড় হলে পর্দাকে অসুবিধে না মনে করে।

কখনো বাচ্চাদের সামনে মিথ্যা বলবেন না,
এবং তাদেরকে মিথ্যা বলা শিখাবেননা।

বাচ্চাদের না মেরে,
বুঝিয়ে সৎ পথে আনার চেষ্টা করুন।

বাচ্চার মেজাজ বেশি হলে,
আউজুবিল্লাহ পড়তে বলবেন সবসময়,
যাতে সয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচতে পারে।

বাচ্চাদের সব বায়না পূরণ করবেন না,
এতে তারা অভাব কি জিনিস বুজবেনা।
এবং বেয়াদব হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

বাচ্চাদের অযথা টাকা দিবেন না,
এতে তাদের টাকার প্রতি লোভ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

বাচ্চাদের দ্বীনের শিক্ষা দিতে গিয়ে টাকা নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না, দ্বীনি কাজে
টাকা বেশি দিলে আপনারই ভালো।

বদমেজাজি বাচ্চাদের বেশি বেশি বুঝাবেন,
মারামারিতে সব বাচচারা লাইন হয় না।

শুধু ওস্তাদের আসায় বাচ্চার ভবিষ্যৎ নয়,
ঘরের ব্যবহার ঠিক রাখুন।

কখনো বাচ্চার সামনে ঝগড়া করবে না,
এতে বাচচারা বেয়াদবি শিখে।

বাচ্চাদের আগে কুরআন শিক্ষা দিন,
তারপর দুনিয়ার শিক্ষা দিন।

কথায় কথা বাচ্চার গায়ে হাত তুলবে না,
তাদের আল্লাহর ভয় দেখিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করুন।

বাচচারা যার সাথে খেলতে গিয়ে দুষ্ট হয়,
তার সাথে খেলতে দেওয়া যাবেনা।

ছোট বাচ্চাদের নিয়ে ইসলামিক উক্তি

বাচ্চার ভবিষ্যৎতের জ মা-বাবার দোয়া খুব প্রয়োজন।

বাচ্চাদের কখনো বদদোয়া দিবেন না,
খারাপ পথে চললে আল্লাহকে হেদায়েত করতে বলুন।

বাচ্চাদের ভাগ ভাল্লুকের ভয় নয়,
আল্লাহর ভয় দেখান।

বাচ্চাদের মিথ্যা গল্প না শুনিয়ে,
সত্যের মাঝে, নবী রাসূল ( স.) এর গল্প শুনাবেন।

বাচ্চাদের গল্প হিসেবে বড়ো বড়ো আলেম আলেমা বা সত্যের সাথে যে-কোন গল্প শুনাতে পারেন।
তবে মিথ্যা গল্প না।

বাচ্চাদের সামনে সবসময় ব্যবহার ভালো রাখবেন।
তাহলে তাদের ব্যবহার ও ভালো হবে।

যে বাচচারা ছোট থেকে ভালো শিক্ষা পায়,
তারা বড় হয়ে অতি ভদ্র হয়।

ওস্তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে,
বাচ্চার ভবিষ্যৎ জীবন নষ্ট করবেন না।

বাচচার মেধা ভালো হলে,
অহংকার নয়,
আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করুন।

বাচচার মেধা খারাপ হলে,
আল্লাহর কাছে দোয়া করুন, জ্ঞান দেওয়ার জন্য আল্লাহ ।

যে বাচচারা ওস্তাদের কথা মন দিয়ে শুনে এবং মানে,
তাদের ভবিষ্যৎ জীবন সুন্দর হবে আসা করা যায় ।

যে বাচচারা মোবাইলের নেশায় পড়ে গেছে,
ধীরে ধীরে মোবাইল দেওয়া কমিয়ে দিন,
কুরআ পড়ার নেশায় পালানোর চেষ্টা করুন ।

বাচ্চাদের খারাপ দিকে নেশা না যাওয়ার উত্তম মাধ্যম হলো,
কুরআন, হাদীস নিয়ে ব্যস্ত রাখানো।

ছোট বাচ্চাদের খারাপ কাজকে,
কখনো প্রধান্য দিতে নেই।

ছোট বাচ্চারা খারাপ কাজ করলে,
কঠোর ভাবে জবাব নিতে হবে, কারণ এখন যা শিখবে, সারাজীবন তা ধরে রাখবে।

ছোট বাচ্চাদের ইসলামিক স্ট্যাটাস

ছোট বচ্চাদের সামনে কথাবার্তা সাবধানে বলতে হয়,
যাতে তাদের মনে কুমন্ত্রণা না আসে।

ছোট বচ্চাদের অবহেলা অনাদরে রাখবেন না,
এতে তাদের মন নিষ্ঠুর ও বিকারগস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

বাচচারা রোজা বা কোনো ভালো কাজ করতে চাইলে বাঁধা দিবেননা।

বাচ্চাদের নেককার লোকদের কাহিনী শুনাবেন,
যাতে তাদের মনে নেককার হওয়ার চেতনা জাগে।

ছোট বচ্চাদের সবসময় আল্লাহ সবকিছু দেখেন, জানেন বলে, এই বিষয়ে তলে ধরবেন, এতে আল্লাহ ভীরু চেতনা উঠবে, ইনশাআল্লাহ।

বাচ্চাদের জান্নাতের নেয়ামতের কথা শুনাবেন, যাতে করে ভালো কাজে লেগে থাকে।

বাচ্চাদের জাহান্নামের ভয় দেখাবেন, যাতে করে মন্দ কাজ থেকে দূরে থাকে।

ছেলে বাচ্চাদের সাথে মেয়েদের সাথে খেলতে দেওয়া যাবেনা।এতে চরিত্রের কুপ্রভাব আসতে পারে।

ছোট বাচ্চাদের সব জিদ ও দাবি মানা জাবে না,এতে একগুঁয়েমি ও হটকারিতার মনোভাব সৃষ্টি হয়। কিছু দাবি মানবেন যাতে তাদের মন ছোট না হয়।

বাচ্চাদের বেশি উল্লাসে রাখবেন না,
এতে তাদের নেক কাজে মন বসবে না।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ইমানের অংশ,
ছোট বাচ্চাদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
না হয় পরে নোংরা থাকা অভ্যাসে পরিনত হয়।

বাচ্চাদের ভালোবাসবেন তবে,
খোঁচা দিয়ে আদর করতে গিয়ে যদি তারা বিরক্ত হয়।তাহলে তা করবেন না।

ছোট বাচ্চাদের সালাম দিতে শিখাবেন।
যাতে ঘরে বাহিরে সবাইকে সালাম দেয়।

ছোট বচ্চারা মেহমান আসলে যেন খারাপ আচরণ না করে,তাদের আগে বলে রাখবেন, মেহমানের সামনে দুষ্টুমি করবেনা।এতে তোমায় খারাপ বলবে,তুমি কি তা চাও।
না হয় আল্লাহর ভয় দেখাবেন।

ছোট বাচ্চারা ঘুমের দোয়া শিখার আগে,
মা অথবা যে ঘুম পারায় সে জোরে জোরে দোয়া বলে ঘুম পারাবেন। তাতে ওর শিখতে সুবিধা হবে।

ছোট বাচ্চাদের জরুরি দোয়া গুলো আগে শিখিয়ে দিন,যাতে তারা আমল শুরু করতে পারে ছোট বয়স থেকে।

বাচ্চাদের নামাজের উপযুক্ত বয়স হলে, নামাজ শিক্ষা দিন। মুসলমানদের নামাজ হলো আসল।

ছোট বচ্চাদের ব্যবহার যেন মিষ্টি হয়
তাই শিক্ষা দিন যেন সবার সাথে ভালো ব্যবহার করে।

Animated Group Join Buttons

Leave a Comment